বিজেপির সংসদীয় বোর্ড থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর থেকে এখনও মুখ খোলেননি নীতিন গাডকরি। তবে তাঁর জমানায় বিজেপির শীর্ষ কমিটি থেকে বর্ষীয়ান নেতা গাডকরির বাদ পড়া নিয়ে মোদীকে তীব্র আক্রমণ করছে কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে আসার জেরেই ‘শাস্তি’ পেতে হয়েছে গাডকরিকে।
সদ্যই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সংসদীয় বোর্ডে বড়সড় রদবদল করেছে বিজেপি। কার্যত রীতি ভেঙে সংসদীয় বোর্ড থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁকে। সংঘ ঘনিষ্ঠ এই নেতা এই মুহূর্তে মোদী মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে একজন। একটা সময় দলের সভাপতিও ছিলেন। সাধারণত বিজেপির সভাপতিরা যতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে থাকেন, ততদিন তাঁদের দলের সংসদীয় বোর্ডে রাখা হয়। কিন্তু গাডকরিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছিলই। সেটা উসকে দিল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার দলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, বিজেপি কেন সংসদীয় বোর্ড থেকে গাডকরিকে সরিয়ে দিল? টুইটে তাদের দাবি, ‘যারা যারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে, তাঁদেরই সরিয়ে দেওয়া হবে। নীতিন গাডকরির সঙ্গেও তেমনটাই হয়েছে।’ আসলে গাডকরি মোদী-শাহদের ঘরানার নেতা নন। তিনি বিজেপির পুরনো বাজপেয়ী পন্থী নেতা।অতীতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একাধিকবার বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বকে খোঁচাও দিয়েছেন। সম্ভবত সেকারণেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গাডকরিকে। যা প্রকাশ্যে এনে বিজেপির মধ্যে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব আরও উসকে দিতে চাইছে কংগ্রেস।