কেন্দ্রের বহুল প্রচারিত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের নীতি দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে উপকারের থেকে বেশি অপকার করতে পারে – এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করছেন আরবিআই-এর গবেষকরা। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আরও চিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারের ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় ভাল পারফর্ম করেছে। একধাক্কায় বেসরকারিকরণে লাভ না-ও হতে পারে। উল্টে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অবশ্য বলেছে যে মতামত লেখকের এবং আরবিআইয়ের নয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আরও চিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারের ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় ভালো পারফর্ম করেছে। যদিও মুনাফার বিষয়ে দেখলে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি অনেক দক্ষ, সেটাও উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের জন্য আরও ধৈর্য ধরা উচিত। সরকারকে ধীরে ধীরে এগনোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ‘আর্থিক সঞ্চালনের’ সামাজিক উদ্দেশ্যটা যাতে বাদ না দেওয়া হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, পাবলিক সেক্টরের ব্যাঙ্কগুলি লো-কার্বন শিল্পে আর্থিক বিনিয়োগকে ‘অনুঘটক’ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ব্রাজিল, চিন, জার্মানি, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবুজ শিল্পে রূপান্তরের ক্ষেত্রে এগুলি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ফলে দীর্ঘকালীন, সামাজিক উদ্দেশ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও সরকারি ব্যাঙ্কের ভূমিকা যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সবচেয়ে বেশি মুনাফা করার লক্ষ্য নিয়ে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি এগোয় না। তাদের একটি সামাজিতক দায়িত্ব রয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রধান লক্ষ্য হল সর্বাধিক মুনাফা করা। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ রিপোর্টে।