এবার বিপাকে পড়ল সিপিএম। সম্প্রতি কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপিকা নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। স্বভাবতই বইছে বিতর্কের ঝড়। পসংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মালয়ালম বিভাগে সম্প্রতি সহকারী অধ্যাপিকা পদে যোগ দিয়েছেন প্রিয়া ভার্গিস। তাঁর স্বামী কেকে রাগেশ এক জন সিপিএম নেতা। প্রিয়ার চাকরি পাওয়াকে স্বজনপোষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন রাজ্যপাল খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল খান বলেন, ‘‘আইন ভাঙাই এখানে নিয়ম হয়ে উঠেছে।’’ রাজ্যপালের মতে গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক। তাঁর অভিযোগ, প্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সচিবের স্ত্রী বলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এটি পক্ষপাতিত্ব এবং স্বজনপোষণের একটি ঘটনা। এক জন সহকরী অধ্যাপিকা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নন, অথচ তাঁকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে! এর একমাত্র কারণ, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবের স্ত্রী। এটা রাজনৈতিক, তা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকা উচিত না।’’ প্রিয়া কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মালায়ালম বিভাগে সহকারী অধ্যাপিকা হিসেবে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন। কেরলে তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক ডামাডোল। অভিযোগ, প্রিয়ার গবেষণায় নম্বর ছিল সবচেয়ে কম। কিন্তু তিনি সাক্ষাৎকারে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। তার পর তাঁকেই তালিকায় প্রথম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যা ঘিরেই শোরগোলের সূত্রপাত।