২০০২ সালে সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাত জুড়ে। আর সেই সময়েই গণধর্ষণ করা হয় ২১ বছর বয়সি তরুণী বিলকিস বানোকে। ঘটনার সময়ে গর্ভবতী ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর তিন সন্তানকেও খুন করা হয়। সেই বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডের ১১ জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাতের বিজেপি সরকার। এর বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে ৬ হাজারেরও বেশি আবেদন। তাঁদের দাবি, ওই ধর্ষকদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। এহেন পরিস্থিতিতে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের দুই মহিলা সাংসদ। ওই গণধর্ষণকারীদের মুক্তির নিন্দার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচাও দিয়েছেন তাঁরা।
এক সাংসদ লিখেছেন, ‘১১ জন মানুষ যারা গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তাদের কেন মুক্তি দেওয়া হল? তাহলে ১৫ অগস্টের ভাষণের সারবত্তাই বা কী? আপনি তো মহিলাদের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কেবল একজন মহিলা হিসেবেই এই কথা বলছি। আমি ক্রুদ্ধ ও ভগ্নহৃদয়।’ সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘সব বাড়িতে তেরঙ্গা তো ওড়ানো হল, কিন্তু স্বাধীনতা কি পাওয়া গেল? ৭৫ বছর পরেও? নিজেকেই প্রশ্ন করুন।’ অন্যদিকে দলের আরেক মহিলা সাংসদও তাঁর পোস্টে একই ভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘কবে এমন অন্যায় শেষ হবে তার অপেক্ষায়। আমি অপেক্ষায়। তিনিও অপেক্ষায়। বিলকিস বানো। ন্যায়বিচার সততার প্রতিনিধিত্ব করে। এবং সত্যি, সত্যিটা হল ১১ জন গণধর্ষণ ও খুনের অপরাধীর মুক্তির পরে মিষ্টি বিলোনো হচ্ছে।