স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গ্রামে ছিল ফুটবল ম্যাচ। তাতে কে জিতবে, তা নিয়ে বাজি লড়েছিলেন দুই গ্রামবাসী। আর তার জেরেই শেষ পর্যন্ত রক্তগঙ্গা বইল বিজেপি শাসিত আসামে। সেখানে পড়শির মাথা কেটে থানায় হাজির হল খুনি ব্যক্তি।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আসামের সোনিতপুর জেলায়। জানা গিয়েছে, সেখানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। খেলায় কোন দল জিতবে তা নিয়ে বাজি ধরেছিলেন দুই গ্রামবাসী। সেই বাজি নিয়ে খেলাশেষে জোর গোলমাল বাঁধে। বচসা গড়ায় রক্তারক্তি কাণ্ডে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম টুনিরাম মাদ্রী। সে বোলিয়া হেমরাম নামের আরেক গ্রামবাসীকে খুন করেছে। বোলিয়া এর আগে টুনিরামের কাছে ৫০০ টাকা চেয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু টুনিরাম তা দিতে অস্বীকার করে। ফুটবল ম্যাচ শেষ হলে একটি ছাগল পুরস্কার হিসেবে জেতে টুনিরাম।
ছাগলটিকে নিয়ে কসাইখানায় যাওয়ার সময় বোলিয়াকেও তার সঙ্গেই আসতে বলে টুনিরাম। কিন্তু বোলিয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এতেই মাথার রাগ চেপে যায় টুনিরামের। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোলিয়ার মাথা কেটে ফেলে টুনিরাম।
এরপর সেই কাটা মুন্ডু নিয়ে ২৫ কিলোমিটার পথ হাঁটে সে। হেঁটে হেঁটেই থানায় যায়। পুলিশকে সবটা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করে। যে অস্ত্র দিয়ে সে বোলিয়ার মাথা কেটেছে তাও পুলিশের হাতে তুলে দেয় টুনিরাম। তারপরই টুনিরামকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করে পুলিশ।