বহু দিন ধরেই বেসুরো ছিলেন তিনি। এনডিএ-র সবথেকে বড় শরিক হলেও বারবারই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দল জেডিইউ-এর মতানৈক্য সামনে এসেছিল। অবশেষে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দেন নীতিশ কুমার। এবংইতিমধ্যেইআরজেডি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন তিনি। এবার তাঁকে বড় চ্যালেঞ্জ দিলেন প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি নীতিশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী দু-এক বছরে তাঁর সরকার বিহারে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান প্রস্তুত করবে। তাতেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন পিকে। বলেছেন, যদি নতুন নীতিশ সরকার এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারে, তা হলে তিনি জন সুরজ অভিযান নামে তাঁর রাজনৈতিক প্রচার মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন, সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবেন নীতিশ কুমারের দিকে।
মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সম্প্রতি বিহারের সরকারি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বলেন, ‘আমাদের সরকারের লক্ষ্য আগামী দু-এক বছরে রাজ্যের ২০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় মানুষ চাকরি পাবেন।’ এ নিয়েই পিকের বক্তব্য, ‘আমি আমার পৃথক রাজনৈতিক প্রচার মঞ্চ জন সুরজ অভিযানের প্রচার বন্ধ করে দেব, আর সমর্থন দেব নীতিশ কুমারের সরকারকে যদি আগামী দু-এক বছরের মধ্যে এ রাজ্যের পাঁচ বা ১০ লক্ষ মানুষের চাকরি হয়।’ বুধবার সমস্তিপুরায় নিজের দলের সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় অভিযোগের সুরেই পিকে বলেন, বিহারের নব নির্বাচিত আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেস সরকার আসলে মানুষের সমর্থন পায়নি। কটাক্ষের সুরে প্রশান্তের মন্তব্য, ‘নীতিশ কুমার ফেভিকল ব্যবহার করে নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে রেখেছেন। আর অন্য দলগুলো সেই চেয়ারের চারদিকে ঘুরে মরছে।’