কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে। গত কয়েক বছরে উপত্যকায় একের পর এক পণ্ডিতের খুনের ঘটনায় স্পষ্ট, যে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার। এ নিয়েই এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। মঙ্গলবার কাশ্মীরে বুদগাম নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান একদল কাশ্মীরি পণ্ডিত। তাঁদের দাবি, পুলিশ প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বছরের পর বছর ধরে তাঁরা নিপীড়িত। এবার পরিস্থিতি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে কাশ্মীরে ফের শুরু হয়েছে ‘টার্গেট কিলিং’। জঙ্গিরা বেছে বেছে হয় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের, নয় পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে প্রাণও দিতে হয়েছে। মঙ্গলবারই সোপিয়ানের জঙ্গি হানায় সুনীল কুমার নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ভাই পিন্টু কুমার গুরুতর আহত হয়েছেন। যা কাশ্মীরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের আতঙ্ক আরও বাড়াচ্ছে। পণ্ডিতদের অভিযোগ, সব জানা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।
ইতিমধ্যেই কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি সংঠনের সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছে, যে যেভাবে পারেন জম্মু বা দিল্লির মতো নিরাপদ স্থানে চলে যান। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির প্রধান সঞ্জয় টিক্কুর বক্তব্য, মঙ্গলবারের আক্রমণের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে উপত্যকায় কোনও কাশ্মীরি হিন্দুকে বাঁচতে দেবে না জেহাদিরা। আমরা গত ৩২ বছর ধরে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে চলেছি। সরকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আর কতদিন আমরা এই যন্ত্রণা সহ্য করব।