স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ফের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার বাংলায় তৈরি হতে চলছে আরও তিনটি নতুন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে এমনটাই। সূত্র অনুযায়ী, বাংলার তিন বড় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গোষ্ঠী রাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পিপিপি মডেলে তিনটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করবে। শোনা যাচ্ছে, সাঁতরাগাছি, চাকদহ ও চন্দননগরে গড়ে উঠতে পারে এই তিনটি কলেজ। তিনটির মধ্যে দু’টি প্রস্তাবিত কলেজকে ইতিমধ্যেই এসেনশিয়ালিটি সার্টিফিকেট দিয়েছে রাজ্য। তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গোষ্ঠীই এনএমসির কাছে পরিদর্শনের জন্যে আবেদন জানিয়েছে। ১৬ই আগস্ট বাংলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা শিক্ষা দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী শিক্ষাবর্ষে বাংলায় নতুন তিনটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রামে মেডিক্যাল কলেজের জন্যে রাজ্যের তরফে ফের আবেদন জানানো হয়েছে। বাংলার নতুন ছয়টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে উলুবেড়িয়া, বারাসত, আরামবাগ, তমলুক ও জলপাইগুড়ি; এই পাঁচটির প্রাথমিক অনুমোদন অর্থাৎ লেটার অব ইনটেন্ট এসে গিয়েছে। নতুন ছয় মেডিক্যাল কলেজের প্রত্যেকটিতেই ১০০টি করে এমবিবিএস আসন থাকবে। সবগুলি অনুমোদন পেলে বাংলায় রাজ্য সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২৩-এ পৌঁছবে। মত আসন সংখ্যা হবে ৩,৫০০। অন্যদিকে, বাংলার সাতটি প্রাইভেট কলেজ মিলিয়ে ১,০০০টি এমবিবিএস আসন থাকবে। এইমস কল্যাণী এবং ইএসআই জোকা মিলিয়ে মোট ২৫০টি আসন রয়েছে। ফলে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলায় এমবিবিএসের আসন সংখ্যা হচ্ছে ৪,৭৫০। রাজ্য সব মিলিয়ে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা হবে ৩২। নতুন তিনটি বেসরকারি কলেজ তৈরি হলে, রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ হবে। এমবিবিএসের আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে ৫,২০০ হবে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।