স্বাধীনতা দিবসে সাভারকরের পোস্টার নিয়ে অশান্তি হয় কর্ণাটকের শিবমোগায়। ছুরি দিয়ে কোপানো হয় এক ব্যক্তিকে। এই ঘটনায় শিবমোগায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। এবার জানা গেল, একই দিনে তেলেঙ্গানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরেই এক টিআরএস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ঘটনাটি খাম্মাম গ্রামীণ মণ্ডলের অন্তর্গত তেলাদরুপল্লি গ্রামের। এদিন ভোরে ওই এলাকায় পতাকা উত্তোলন করেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি নেতা তামমিনেনি কৃষ্ণাইয়া। কিছু সময় পরে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নেতা। সেই সময় মাঝপথে তাঁর পথ আটকায় একটি অটোরিক্সা। অভিযোগ, চার ব্যক্তি অটো থেকে নেমে নেতার উপরে হামলা চালায়। তাঁকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলেই কৃষ্ণাইয়ার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের পরেই এলাকা ছেড়ে পালায় চার দুষ্কৃতী।
খাম্মামের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ জানিয়েছেন, তেলাদরুপল্লি গ্রামের কাছে ৫৪ বছরের ওই নেতার উপর হামলা চালানো হয়। কিছুদিন আগে তিনি দলবদল করেন। সিপিএম ছেড়ে টিআরএসে যোগ দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ৪ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এদিকে টিআরএস নেতার খুনের পরেই সোমবার দুপুরে স্থানীয় সিপিএম নেতা কোটেশ্বর রাওয়ের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। তাঁদের অভিযোগ, এই খুনে জড়িত কোটেশ্বর রাও। পাথর-বৃষ্টি চলে নেতার বাড়িতে। ঘটনায় নেতা বা তাঁর পরিবারের কেউ আহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়িটি। এই হামলার পরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কারফিউ জারি করে পুলিশ।