অনেকটাই সস্তায় মিলছে কিছু বিদেশি মদ। অতঃপর? কার্যত রেকর্ড হারে নিম্নমুখী দেশি মদের বিক্রি। স্বাভাবিকভাবেই দেশি মদ ছেড়ে বিয়ার বা কম দামী বিদেশি মদেই মজেছেন সুরাপ্রেমীরা। বিয়ার বা ফিফটি ডিগ্রি বিদেশি মদে অ্যালকোহলের মাত্রা অনেক কম। সেই কারণে স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও সেদিকে ঝুঁকেছেন অনেকে। এমনটাই জানাচ্ছেন আবগারি বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে প্রতি মাসে গড়ে চার কোটি লিটার দেশি মদ বিক্রি হত। কিন্তু সম্প্রতি তার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। মাসে গড়ে ৩ থেকে ৩.২ কোটি লিটার দেশি মদ বিক্রি হয়।
এবিষয়ে আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বিগত বছরের শেষে রাজ্যে বিয়ার এবং বিদেশি মদের দাম কমার পর থেকেই দেশি মদের বিক্রি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। দেশি মদের বিক্রি প্রায় এক কোটি লিটার কমে গিয়েছে। আবগারি দফতরের আধিকারিকদের মতে, এর ফলে আবগারি শুল্ক থেকে রাজ্যের আয়ে কোন প্রভাব পড়বে না। চলতি অর্থ বছরের জুলাই অবধি রাজ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আবগারি শুল্ক আদায় হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অর্থবর্ষের শেষে আবগারি শুল্ক আদায়ের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছতে পারে। রাজ্যে মদের ‘ডিকলেয়ার্ড প্রাইজ’ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অর্থাৎ ডিস্ট্রিবিউটরদের মদ কিনতে বেশি টাকা গুনতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়তে পারে কিছু মদের দাম। যদিও দাম বৃদ্ধির পরিমাণ হবে খুবই কম।
