ফিফার সিদ্ধান্তে ভারতীয় ফুটবল বেনজির সঙ্কটে। নির্বাসিত দশা থেকে মুক্তি পেতে এবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হল সুপ্রিম কোর্টে। এআইএফএফ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন সলিসিটর জেনারেল। ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নির্বাসিত করেছে ফিফা। এই সঙ্কট থেকে ভারতীয় ফুটবলকে মুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের কাছে এআইএফএফ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানালেন। বুধবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি আগেই নির্ধারিত ছিল। কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার শীর্ষ আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে প্রথম এই মামলার শুনানি হবে। গত ৩ অগস্ট এআইএফএফ মামলার শুনানি হয় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। সে দিনই বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ অগস্ট। তার মধ্যেই বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে নির্বাসিত করেছে এআইএফএফকে। নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব নিলে নির্বাসনের শাস্তি তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফিফা। তা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাসিতই থাকতে হবে ভারতীয় ফুটবলকে।
ফিফার নির্বাসন এবং কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। ফিফা মূলত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই কমিটি বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এআইএফএফের কাজ কী ভাবে চলবে, তা নিয়েও বিকল্প উপায় বের করা হতে পারে। আগামী ২৮ অগস্ট এআইএফএফের নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনের ভোটার তালিকায় কোনও ব্যক্তি বিশেষের ভোটাধিকারের বিরোধী ফিফা। এই আপত্তির কথা কেন্দ্রীয় সরকারকেও জানিয়েছে তারা। ফিফা চায় বিভিন্ন রাজ্য সংস্থা এবং এআইএফএফ অনুমোদিত সংস্থার প্রতিনিধিরাই শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। সিওএ ভোটার তালিকায় ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলারকে (২৪ জন পুরুষ এবং ১২জন মহিলা) রাখতে চেয়েছিল। ফিফা আগেই এই ভোটারদের নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ সিওএ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটে মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। তার আগে পরিস্থিতি না বদলালে ভারত থেকে প্রতিযোগিতা সরিয়ে নেবে ফিফা। ভারতীয় ফুটবলের পরিস্থিতির উপর নজর রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা।