বরাবরই দলের প্রমিলা বাহিনীকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা ভোটের পর মন্ত্রিসভা গঠনেও নারী শক্তির ওপরই আস্থা রেখেছেন তিনি। এবার দলের সংগঠন মজবুত করতে মহিলা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করছে তাঁর দল।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মহিলা ভোট কোনও ভাবেই নিরাশ করেনি তৃণমূকে৷ আর সেই ভোট অটুট রাখতে একদিকে যেমন প্রশাসনিক স্তরেও চলছে নানা ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ। তেমনি রাজনৈতিক ভাবেও মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নয়া মুখ তুলে নিয়ে এসেছে বাংলার শাসক দল।
সাংগঠনিক জেলাগুলির সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদে আগেই বদল এনেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবার ওই জেলাগুলিতে সভানেত্রী পদেও ব্যাপক রদবদল করা হল। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বিধায়ক বা সাংসদের পরিবর্তে আস্থা রাখা হয়েছে নতুনদের ওপর। প্রায় ৩০টিরও বেশি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে নতুন মুখ আনা হয়েছে।
এতদিন মূলত দলের বিধায়ক-সাংসদদেরই জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হত। কিন্তু এবার মাত্র ৩ জন-প্রতিনিধিকে ওই পদ দেওয়া হয়েছে। সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পাল হয়েছেন হাওড়া গ্রামীণের সভাপতি। দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক সভানেত্রীর পদে দ্বিতীয় বার বসানো হয়েছে কলকাতার ৯১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো কমিটির চেয়ারপার্সন চৈতালি চট্টোপাধ্যায়কে।
অন্যদিকে, হাওড়া সদরের সভাপতি হয়েছেন নন্দিতা চৌধুরী। তিনি হাওড়া দক্ষিণের বিধায়ক প্রয়াত সাংসদ অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে। আগের চেয়ে অনেক বেশি মহিলাকে দায়িত্বে আনা হয়েছে। এটি তাঁদের ভবিষ্যতে আরও অনেক বড় দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। এখন থেকেই তৈরি করে নেওয়া সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।