ফের দলের সাংগঠনিক স্তরে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক জেলাগুলির সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদে আগেই বদল আনা হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এ বার ওই জেলাগুলিতে সভানেত্রী পদেও বড়সড় রদবদল করা হল। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বিধায়ক বা সাংসদের পরিবর্তে আস্থা রাখা হয়েছে নতুনদের উপর। প্রায় ৩০টিরও বেশি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে নতুন মুখ আনা হয়েছে। ‘‘এঁদের মধ্যে অনেককেই ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল পদের জন্য বিবেচনা করা হবে। সেই কারণেই তাঁদের প্রাথমিক ভাবে জেলার দায়িত্বে আনা হয়েছে’’, জানান মমতা। সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পাল হয়েছেন হাওড়া গ্রামীণের সভাপতি। দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক সভানেত্রীর পদে দ্বিতীয় বার বসানো হয়েছে কলকাতার ৯১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো কমিটির চেয়ারপার্সন চৈতালি চট্টোপাধ্যায়কে। হাওড়া সদরের সভাপতি হয়েছেন নন্দিতা চৌধুরী। তিনি হাওড়া দক্ষিণের বিধায়ক প্রয়াত সাংসদ অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা।
পাশাপাশি, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের ও মালদহের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। মালদহের ১৮টি ব্লকের মূল সংগঠনের পাশাপাশি যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের ১২টি ব্লকের মূল সংগঠনের পাশাপাশি শাখা সংগঠনের ব্লক স্তরের পদাধিকারীদেরও নাম ঘোষণা করেছে দল। উত্তর দিনাজপুরেও ১৪টি ব্লকে পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং জেলায় সর্ব স্তরের পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী দিনে আরও ২৯টি জেলা ও ব্লক সংগঠনের পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসে বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতৃত্বর সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে বৈঠক করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরেই ব্লক কমিটির নাম ঘোষিত হয়েছে। এ বার একে একে রাজ্যের সব সাংগঠনিক পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করা হবে। তার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নতুন নিযুক্ত পদাধিকারীদের বার্তা দেওয়া হতে পারে বলেই অনুমান রাজনৈতিক কারবারিদের।