আজ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তির ৭৫ বছর পর ‘আজাদী কে অমৃত মহোৎসব’ পালন করছে গোটা দেশ। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও নিজেরই দেশের বিশেষ কয়েকটি জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইলেই অনুমতি মেলে না। হ্যাঁ, দেশের মধ্যেই আছে এমন কয়েকটি জায়গা, যেখানে ঘুরতে যেতে চাইলে ভারত সকারের থেকে আগাম ‘স্পেশাল পারমিট’ করাতে হয়। মূলত দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি যেগুলি স্পর্শকাতর, সেখানকার আদিবাসীদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য সমস্যা এড়াতে মানুষজনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের আগাম অনুমতির প্রয়োজন ঘটে।
প্রথমত, লাক্ষাদ্বীপ। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলটি ভ্রমণপিপাসুদের অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা। লাক্ষাদ্বীপের প্রবেশের জন্য বিদেশিদের তো বটেই, ভারতীয়দেরও অনুমতি লাগে। পর্যটকদের সংখ্যার উপর আলাদা করে নজর রাখা হয় লাক্ষাদ্বীপে। ভ্রমনকারীর সমস্ত নথি প্রথমে স্থানীয় থানায় দেখিয়ে ক্লিয়ারেন্স বা ছাড়পত্র নিতে হয়। তারপর পারমিট পেলে লাক্ষাদ্বীপের স্টেশন হাউজ অফিসারদের কাছে জমা দিতে হয়। তবেই মেলে ভ্রমণের অনুমতি। এখন যদিও অনলাইনেও পারমিট পাওয়া যায়।
তারপর অরুণাচল প্রদেশ। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই অঞ্চলটি চীন, মায়ানমার ও ভুটান সীমান্তে অবস্থিত। অরুণাচল প্রদেশ ঘুরতে যেতে চাইলে নয়া দিল্লি, কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলং এবং অরুণাচল প্রদেশ সরকারের কাছ থেকে সুরক্ষিত এলাকায় যাওয়ার অনুমতি নিতে হবে। মাথাপিছু ১০০ টাকা করে, সিঙ্গল ই-আইএলপি ও গ্রুপ ই-আইএলপি সংগ্রহ করা যায় ন্যূনতম ৩০দিনের জন্য। অনলাইনে এই পারমিট পাওয়া যায়।
তারপর মিজোরাম। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সীমানা ঘেঁষা এই অঞ্চলটিতে যেতে গেলে অভ্যন্তরীণ পারমিট অবশ্যই লাগবে। আদিবাসী ও উপজাতি অধ্যুধিত মিজোরামে যাওয়ার অনুমতি শিলচর, কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলং, নয়াদিল্লী ও মিজোরাম সরকারের থেকে পাওয়া যায়। আইজল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছ থেকেও সংগ্রহ করা যায় বিশেষ পাস।
তারপর নাগাল্যান্ড। মায়ানমার সীমান্তবর্তী নাগাল্যান্ডে ১৬ ধরনের ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পন্ন উপজাতির মানুষ বাস করেন। নাগাল্যান্ড ভ্রমণের জন্যও লাগে ইনার লাইন পারমিট। কোহিমা, ডিমাপুর, নয়াদিল্লী, মোকোকচুং, সিলং এবং কলকাতায় জেলাপ্রশাসকদের কাছে নাগাল্যান্ড ভ্রমণের পারমিট মেলে। অনলাইনেও পারমিটের জন্য আবেদন করা যায়। সর্বোপরি সিকিমের কিছু অঞ্চল।