আত্মপ্রচারে বরাবরই দড় মোদী সরকার। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আরো একবার তার প্রমাণ মিলল। যা ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্বাধীনতার পর ভারতীয় রেলের সাফল্য বলতে নাকি কেবল বৈদ্যুতিকীকরণ! আর কোন সাফল্য খুঁজেই পেল না মোদী সরকার? ১৪ই আগস্ট বৌদ্যুতিকীকরণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে মোদী সরকার। তাতেই জানা গিয়েছে, গত ৮ বছরে দেশে প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটারের বেশি রেলওয়ে ট্র্যাকের ইলেক্ট্রিফিকেশন করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করেই নিজেদের ঢাক পেটাতে ব্যস্ত মোদী সরকার। ১৯৫১-২০২২ অর্থাৎ প্রায় ৭১ বছরের বৈদ্যুতিকীকরণের হিসেব প্রকাশ্যে এনেছে তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৫১ সালে ৩৮৮ কিলোমিটার রেল ট্র্যাকের বৈদ্যুতিকীকরণ করা হয়েছিল। ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৫৬ এবং ১৯ হাজার ৬০৭ কিলোমিটার রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছিল। ২০২২ সালে বৈদ্যুতিকীকরণের পরিমাণ পৌঁছেছে ৫২ হাজার ২৪৭ রুট কিলোমিটারে। অর্থাৎ গত আট বছরে দেশের ৩০ হাজার ৫৮৫ রুট কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে। একেই রেলের চূড়ান্ত সাফল্য বলে তুলে ধরতে মরিয়া মোদী সরকার। রেললাইনের বৈদ্যুতিকীকরণ ছাড়া অন্য কোন সাফল্য নেই ভারতীয় রেলে? নাকি মোদীর আমলে রেলের সাফল্যের কোন নজির খুঁজে পাচ্ছে না রেলমন্ত্রক? উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি, যেখানে বেসরকারিকরণের গ্রাসে দেশের রেল, সেখানে কেবল বৈদ্যুতিকীকরণকে সাফল্যের মানদণ্ড হিসেবে ধরা কতটা সঙ্গত? সমালোচনায় মুখর হয়েছে একাধিক মহল।
