আরও বিপাকে পড়ল মহারাষ্ট্রের শিন্ডে-ফডনবিস সরকার। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল। একটি রাজ্য ৪১ দিন ধরে চালিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আর উপ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভা গড়তে গিয়েই বিপত্তি। মন্ত্রী আছেন, নেই দপ্তর! সূত্রের খবর, দপ্তর বণ্টন নিয়ে শুরু হয়েছে আভ্যন্তরীণ কোন্দল। কে কে সামলাবেন তা নিয়ে জমছে ক্ষোভ। ১৮ জন বিধায়কের মন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ হয়েছে, আজ প্রায় পাঁচ দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু তাদের হাতে দপ্তর নেই। মহারাষ্ট্র নামক গলার কাঁটায় অস্বস্তিতে বিজেপি। শিন্ডের শিবসেনা আর বিজেপি, কে কোন দফতর পাবে তা নিয়েই স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়েছে দুই শিবিরে। বিজেপি এবং বিদ্রোহী শিবসেনার হানিমুন পিরিয়ড শেষ, বন্ধুত্বের ওম সরে গিয়ে শৈত প্রবাহ বইছে। চূড়ান্ত দর কষাকষি চলছে দুই পক্ষের অন্দরে। দুই শিবিরই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর চাইছে। মহারাষ্ট্রে জেলার সংখ্যা ৩৬। সরকারে মন্ত্রী মাত্র ২০। নামেই ১৮ জন মন্ত্রী আদপে দুজনের সরকার চলছে। থমকে গিয়েছে সরকারি কাজকর্ম।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই উদ্ধব সরকারের পতন ঘটিয়ে, মহারাষ্ট্রের দখল নিয়ৈছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন যথাক্রমে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডনবিস। কিন্তু মন্ত্রিসভা গড়তে গিয়ে ল্যাজেগোবরে উভয় শিবির। দিল্লীতে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেন দুজনে। বিক্ষুব্ধ শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে কাজিয়া শুরু হয়, কারা হবেন মন্ত্রী এবং কারা বাদ পড়বেন, কার পাল্লায় কটা দফতর থাকবে। নিরুপায় হয়ে ৯ই আগস্ট মাত্র ৯ জন বিজেপি এবং ৯ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে মন্ত্রী করা হয়। যদিও আজ অবধি তাদের দফতর দেওয়া হয়নি। ফলে স্পষ্ট অনেক গভীর পর্যন্ত সমস্যার শিকড় পৌঁছছে। সমস্যা এতই গুরুতর যে বিজেপির কাছে মহারাষ্ট্র এখন গলায় আটকে কাঁটার মতো।