গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি-বাড়ি পানীয় জলের লাইন পৌঁছতে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ কেন্দ্র লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি। বাংলা পেরেছে। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৭ লক্ষ বাড়িতে নলবাহীত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যদিও রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় ১ কোটি ৭৭ লক্ষ বাড়ি রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যেই সব বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প জল জীবন মিশনের মাধ্যমে পাইপলাইনে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার ৭৫ বছরে লালকেল্লা থেকে সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে ১৯ কোটি বাড়ির মধ্যে অন্তত ১০ কোটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার সাফল্যের এই ঘোষণা করতে চান। ৪৫ লক্ষ গ্রামীণ এলাকায় জল জীবন মিশনের পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারলে তবেই সম্ভব। এ জন্যে চলতি আর্থিক বছরের গোড়ায় প্রতিটি রাজ্যকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিল জলশক্তি মন্ত্রক। দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ শুধু নয়, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডও তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অনেক পিছিয়ে। বাংলাই ১০০ শতাংশ পেরেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ গ্রামীণ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া।
ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৭৮ হাজার বাড়িতে পাইপলাইনে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন রবিবারের মধ্যেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর বাকি ২২ হাজার বাড়িতেও পাইপলাইন চালু করে দেবে বলে জানিয়েছে। প্রসঙ্গত এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার মুখ্য সচিব বিভিন্ন জেলাগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রের দেওয়া টার্গেট যাতে দ্রুত পূরণ করতে পারে রাজ্য সেই বিষয়ে বারবার জেলেগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্য সচিব।
শুধু তাই নয় দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রী পুলক রায় ও একাধিকবার বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেন। প্রসঙ্গত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ যাদের দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে নবান্নের শীর্ষ মহলের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের দ্বারা সময়সীমার আগেই বাংলা লক্ষ্য পূরণ করতে পারায় মনে করা হচ্ছে জল জীবন মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে অনুদান পাওয়া আরও সহজ হবে।