বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি নীতীশ কুমার এবং এই কারণেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতৃত্বে ‘মহাগঠবন্ধন’ গড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জোট বদলে অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ, আর তারপরেই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন পিকে। বিহারে ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রশান্ত। সেবার জনতা দল (ইউনাইটেড)-আরজেডি জোট ক্ষমতায় এসেছিল। পিকে জানিয়েছেন, বিহারের রাজনৈতিক উন্নয়নের প্রভাব বর্তমানে রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় স্তরে এর প্রভাব পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। “২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিনি বিজেপির সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে আমার তাঁকে কখনই স্বচ্ছন্দ্য মনে হয়নি।
তিনি হয়তো ভেবেছিলেন যে মহাগঠবন্ধন নিয়ে পরীক্ষা করা যাক,” বলেন প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোর এবিষয়ে জোর দিয়েই জানিয়েছেন যে রাজনৈতিক এই বাঁকবদল একেবারেই বিহার কেন্দ্রিক। নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরকে একসময় নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন হিসাবেই মনে করা হত। পিকে জানান ২০১২-১৩ সাল থেকে সরকার গঠনে ছয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাক্ষী হয়েছে বিহার এবং নীতীশ কুমার সবসময়ই তাতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থেকে গিয়েছেন। “২০১২-১৩ সাল থেকে এই নিয়ে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এটি ষষ্ঠ পরীক্ষা। এই ছয়টি পরীক্ষাতেই নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী থেকে গেছেন। আর বিহারে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমি আশা করি নতুন সরকার ভালো কিছু করবে’, বলেন পিকে।