সামনেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই দিকে তাকিয়েই জেলা ধরে সাংগঠনিক বৈঠক শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ভাবে করতে হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে এ কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে নিজের লোক বলে যাকে-তাকে পঞ্চায়েতে দলীয় টিকিট দেওয়া যাবে না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত মানুষের পাশে থাকা দলীয় নেতা-কর্মীরাই ভোটে প্রার্থী হবেন। এবার নিজের সংসদীয় এলাকার কাজে যে কোনও ব্যক্তির মাতব্বরি মেনে নেওয়া হবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ৷
পাইপ লাইনের মাধ্যমে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ডায়মণ্ড হারবার সংসদীয় এলাকায়। সেখানেই সাতগাছিয়া বিধানসভায় কাজ শুরু হয়েছে। আর সেই কাজে যেন কোনও বাধা না আসে, সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমার মতন লোক কম হয়। আমি সত্যি কথা, জোরের সঙ্গে বলি। মানুষের নূন্যতম চাহিদা যদি না দিতে পারি, তাহলে আমাদের পদে থাকা মানায় না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২০২৪ সালের আগে এই কাজ শেষ করতে হবে। কেউ যদি মাতব্বরি করে৷ কেউ যদি কাজে বাধা সৃষ্টি করে, পুলিশকে বলব স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে৷
উল্লেখ্য, এর আগে হলদিয়ায় সভায় অভিষেক বলেছিলেন, ঠিকাদারি করব আর শ্রমিকদের বঞ্চিত করব, সেটা হবে না। আমার কাছে পে-স্লিপ আছে। ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ। বেতনের তারতম্য কেন হল? কেন স্থানীয় ছেলেদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না? কেন হলদিয়ার ছেলেরা ১২ ঘন্টা কাজ করে বেতন যথাযথ পাবে না। এটা আমি চলতে দেব না। হয় ঠিকাদারি করো, নয় রাজনীতি করো। দুটো এক সঙ্গে হবে না। তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে ঠিকাদারি করা যাবে না। ১১ বছরের দেওয়াল ভেঙে চুরমার। আমি ৩ মাস সময় চাইছি। ম্যাক্সিমাম ১০০ দিন। কোনও ঠিকাদার থাকবে না। আপনাদের আন্দোলনের পাশে আমি থাকব। আমাদের নেত্রী একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও দাদার অনুগামী আমরা নই।