জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য। ভারতীয় সেনা এবং কাশ্মীরি পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে বুধবার বুদগামে খতম তিন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি। যাদের মধ্যে লস্কর জঙ্গি লতিফ লাথের রয়েছে। যে কিনা কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট এবং আমরিন ভাটকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে এমনটাই জানান হয়েছে। এছাড়া আরও নাশকতার সঙ্গে সে যুক্ত ছিল বলে খবর। কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার বদলা নিল সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে সংঘর্ষে নিকেশ রাহুল ভাটের হত্যাকারী-সহ লস্কর-ই-তইবার তিন সন্ত্রাসবাদী। উপত্যকায় জঙ্গি দমনে এটাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বদগাঁও এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় কাশ্মীর পুলিশ। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে তাদের। সেখান থেকেই তিন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে তারা।
কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট এবং আমরিন ভাটের হত্যার ঘটনায় জড়িত কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি লতিফ রাঠেরও ছিল সেই দলে। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর ক্ষয়ম হয় তিন জঙ্গি। গত ১২ মে উপত্যকার বদগাওয়ের চাদুরা নামে একটি গ্রামের তহসিলদার অফিসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনার কথা টুইট করে জানিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ। ওই টুইটে বলা হয়, “বদগাওয়ের চাদুরা গ্রামের তহসিলদার অফিসে এক সংখ্যালঘু ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। তাঁকে লক্ষ্য গুলি করা হয়। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।” যদিও শ্রীনগরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাহুল ভাটের। গত ৯ মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এই ধরনের হামলা বাড়তে শুরু করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে।