সিআইডি-র হাতে উঠে এল একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য। পাঁচলা ৫০ লক্ষ কাণ্ডে পাওয়া গেল নয়া মোড়ের সন্ধান। এদিন জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক (সাসপেণ্ড) ইরফান আনসারির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিআইডি আধিকারিকরা। ধৃত ৩ কংগ্রেস বিধায়ক (সাসপেণ্ড)- এর মধ্যে এক বিধায়ক ইরফান আনসারি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি স্করপিও গাড়ি। সিআইডি’র দাবি, এই গাড়িতে করেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রথমবার কলকাতা থেকে জামতাড়া ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন ইরফান আনসারি সহ ৩ বিধায়ক। জানা গিয়েছে, ওই টাকাও মহেন্দ্র আগরওয়ালের দোকান থেকেই দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গাড়ি ও তারিখ মিলিয়ে গাড়িটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২১শে জুলাই হাওয়ালা যোগে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছিল এই গাড়িতেই। তারপরে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় হাওড়া পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এই ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। আপাতত সিআইডি হেফাজতে এই ৩ বিধায়ক। জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। পাঁচলা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং অসম সহ অন্যান্য রাজ্যের যোগ স্পষ্ট হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ৩ বিধায়ক দেখা করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত শর্মার সঙ্গে। রহস্যজনক ভাবে দিল্লী, অসম পুলিশ বারবার সিআইডি আধিকারিকদের বাধা দিচ্ছে তদন্তে। এই কাণ্ডে জাতীয় রাজনীতিতে লজ্জার মুখে বিজেপি। আজ হাওড়া আদালতে পেশ করা হবে ৩ কংগ্রেস (সাসপেণ্ড) বিধায়ককে। এবারে সিজার লিস্টে উল্লেখ থাকবে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া ৫ লক্ষ টাকা ও সাদা রঙের স্করপিও গাড়িটির কথা। এখন পরিস্থিতি কোন অভিমুখে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
