একশো দিনের প্রকল্পে যে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, সে কথা একপ্রকার স্বীকারই করে নিয়েছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করে এসেছেন এতদিন, তাতে সিলমোহর দিয়েছে মোদী সরকার। এবার সেই প্রাপ্য অর্থের দাবিতে সুর আরও চড়াল তৃণমূল। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভটাচার্য অভিযোগ করেছেন, ১০০ দিনের কাজে বাংলার প্রাপ্য ১৮ হাজার কোটি টাকা মারতে চায় কেন্দ্র।
চন্দ্রিমা বলেন, ‘বাংলার উপর কীভাবে আঘাত আনা যায় তার নানা উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে কেন্দ্র। বিমাতৃসুলভ আচরণ চলছে। ‘২২ সালের যে টাকা পাওয়ার সেটা মেলেনি। ৭ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে যারা কাজ যারা করেছে তাদের প্রাপ্য ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সেটা পাওয়া যায়নি। কেন্দ্র কি চায় গরিব মানুষ বিনা পয়সায় কাজ করবে?’ তাঁর অভিযোগ, ‘অবান্তর কথা বলে টাকা দিচ্ছে না। বলছে নাম পালটে দিয়েছে। আমরা তো ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নাম বদলাইনি। তাই টাকা মারবে বলে এটা করছে।’
অন্যদিকে, রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের দাবি, ‘এর পিছনে রাজ্যের কিছু বিজেপি নেতার উসকানি রয়েছে। বাংলা ছাড়া অন্য রাজ্যগুলিতে ভূরি ভূরি টাকা দিয়েছে। আমাদের একটা টাকাও দেয়নি। আর্থিক ব্লক তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে।’ শুধু তাই নয়। সাংসদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ যোজনার টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ৬২০০ কিলোমিটার রাস্তা করার কথা। কিন্তু তার বরাদ্দও আসেনি।