৩ কৃষি আইনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনাতেও সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যার ফলস্বরূপ বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয় বিজেপির সাংসদ বরুণ গান্ধীকে। তবে তারপরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজয় মালিয়ার মতো শিল্পপতিদের দেশ ছাড়াই হোক কিংবা ঋণের চাপে কৃষকদের আত্মহত্যার মতো ইস্যু— বারবার মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন বরুণ। বুধবার সকালে ফের বিস্ফোরক মানেকা-পুত্র। এবার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ নিয়েও কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন এই বিদ্রোহী বিজেপি নেতা।
নিজের টুইটার হ্যান্ডলে বরুণ লেখেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির উৎসব যদি গরিবের উপরে বোঝা হয়ে যায় তাহলে তা হবে নেহাতই দুর্ভাগ্যজনক। রেশন কার্ডধারীদের তেরঙ্গা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বা তার পরিবর্তে তাদের রেশনের অংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভারতীয়র হৃদয়ে যে তেরঙ্গা রয়েছে তার মূল্য গরিবের গ্রাস ছিনিয়ে আদায় করা লজ্জাজনক।’ টুইটের সঙ্গে একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেছেন বরুণ। সেখানে লোকদের বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমাদের কাছে রেশন কেনার টাকা নেই। তেরঙ্গা কেনার টাকা কোথায় পাব?’
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে সূচনা হয়েছে অমৃত মহোৎসবের। আর সেই উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্মসূচিতে ২০ কোটি বাড়িতে ত্রিবর্ণরঞ্জিত ভারতীয় পতাকা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারের এই প্রচারকে কাজে লাগানো হচ্ছে পুরোদস্তুর। এই পরিস্থিতিতে একটি মেসেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, হরিয়ানায় পতাকা না কিনলে ডিপোর হোল্ডারা রেশন ডিপোতে রেশন পাবেন না। সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, রেশন কার্ডের ধারকরা ২০ টাকা দিয়ে তেরঙ্গা না কিনলে তাঁরা অগস্ট মাসের গম পাবেন না। এবার সেই ভাইরাল বার্তার সূত্র ধরেই গেরুয়া শিবিরকে কাঠগড়ায় তুললেন বরুণ।