অবশেষে বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে ফের আরজেডি-কংগ্রেসের হাতই ধরেছেন জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার। মঙ্গলবারই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সাতটি দলের মহাগটবন্ধনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আজ ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ। অন্যদিকে, এর মাশুল গুণতে হচ্ছে বিজেপিকে। শুধু বিহারে নয়, জোট ভাঙার প্রভাব পড়েছে রাজ্যসভাতেও। কমে গিয়েছে এনডিএ-র আসনসংখ্যা।
এনডিএ-র সঙ্গে জোটে রাজ্যসভায় নীতিশের জেডিইউ-এর ৫ সাংসদ ছিল। তা সত্ত্বেও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না এনডিএ-র। এরমধ্যে বড় ধাক্কা হিসাবে বিগত তিন বছরে পরপর তিনটি দল এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গেল। প্রথমেই জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল শিবসেনা। পরে কৃষক আন্দোলনের সময় এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে যায় শিরোমণি অকালি দল। তেলুগু দেশম পার্টিও ২০১৯ সালে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
আর এবার তালিকায় নতুন সংযোজন জেডিইউ। জেডিইউ-ও এবার জোট ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিজেপিকে এখন উড়িষ্যার বিজু জনতা দল ও অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির উপরই নির্ভরশীল থাকতে হবে রাজ্যসভায় গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ করার জন্য। আর যদি আকালি দল বা বিএসপি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়, একমাত্র তবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে পদ্ম শিবির।