রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বাপ্টু চক্রবর্তী-সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন। পাল্টা কংগ্রেস ছেড়ে, তৃণমূলে যোগ দিলেন হারাধন দেবনাথ।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘যারা রাজনীতিতে এসে ভাবে যে, তারা শুধুমাত্র সংসদীয় রাজনীতিতে গিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি হতে চান, এরকম লোকের তৃণমূল কংগ্রেসে দরকার নেই। যারা সত্যিকারের দল করতে চায়, মানুষের পাশে থেকে এই গণতন্ত্র বিপন্ন ত্রিপুরাকে বাঁচাতে চায়, তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আগামী দিনে থাকবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি যত দিন যাবে দেখতে পাবেন যে অনন্যা রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছে, যারা চলে গিয়েছে তারা নিজেদের স্বার্থ লাভ করতে গিয়েছে। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কিছু হবেনা। আমরা মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই করছি। যতক্ষণ না ত্রিপুরায় আমরা গণতন্ত্র ফেরাতে পারবো, উন্নয়ন দিতে পারবো ততদিন লড়াই চলবে।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘রাজনীতিতে আদৌ কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা আছে কি না সেটাই এখন একটা বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এরা বারবার দলবদল করে, কিন্তু এরাই কয়েকদিন আগে এখানে বসে একুশে জুলাইয়ের শহীদ স্মরণে অংশগ্রহণ করেছে। আমার তো মনে হয় লড়াই কেউ যদি করে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেন, তৃণমূল কংগ্রেস করেন। বাপ্টু চক্রবর্তী ক্ষেত্রে আমি বলবো যে, তাকে বারবার বলা হয়েছিল জনসংযোগ করতে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে কিন্তু তাকে তৎপরতার সঙ্গে সেভাবে রাজনীতিতে দেখা যায়নি। দলবদল করতে গেলে একটা করে যুক্তি লাগে। তৃণমূল কংগ্রেস তাকে অনেক সম্মান দিয়েছিল, তাকে সাধারণ সম্পাদক করেছিল, বিভিন্ন সংগঠনের ইনচার্জ করেছিল, ৩দিন আগে পর্যন্ত আমার সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন, তারপর তার মনে হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা।