মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ঘর ভেঙে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি৷ আর সেই মহারাষ্ট্র কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়েই আগেভাগে নিজের গড় বাঁচাতে তৎপর হলেন নীতীশ৷ বলা ভাল, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-র কৌশল বিহারে বুমেরাং হয়ে গেল পদ্ম শিবিরের কাছে৷ জেডিইউ সূত্রের খবর এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা অন্তত সেরকমই৷
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সরকারে না থেকেও একনাথ শিন্ডেকে ব্যবহার করে শিবসেনায় চুপিসারে ভাঙন ধরিয়েছিল বিজেপি৷ সূত্রের খবর, উদ্ধবের পরিণতি ভবিষ্যতে তাঁরও হতে পারে, এই আশঙ্কা দানা বেঁধেছিল নীতীশের মনে৷ সেই কারণেই বিজেপি নির্ভরতা কমাতে চাইছিলেন নীতীশ৷ এর পিছনে একাধিক কারণও দেখছে রাজনৈতিক মহল৷
প্রথমত,গত বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যার নিরিখে বিজেপি-র থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল নীতীশের জেডিইউ৷ এর জন্য বিজেপি-কেই দায়ী করতে শুরু করেছিলেন জেডিইউ নেতারা৷ কারণ, বিধানসভা নির্বাচনে আলাদা প্রার্থী দিয়ে জেডিইউ-এর ভোট কেটেছিলেন চিরাগ পাসোয়ান৷ এর পিছনে বিজেপি-র মদতই দেখেছিল জেডিইউ শিবির৷ বিধায়ক সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিশ্রুিত অনুযায়ী নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি৷ কিন্তু খাতায় কলমে মুখ্যমন্ত্রী হলেও কার্যত বিজেপি-র শর্তেই সরকার চালাতে হচ্ছিল নীতীশকে৷ যা তাঁর একেবারেই পছন্দ ছিল না৷
এখানেই শেষ নয়, শিবসেনার মতো জেডিইউ-এর অন্দরেও ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চলছে, এমন আঁচও পেয়েছিলেন নীতীশ৷ এক্ষেত্রে তাঁর সরাসরি অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে৷ জেডিইউ শিবিরের দাবি, তাদের দলের নেতা আরসিপি সিং-কে ব্যবহার করে বিহার চিরাগ মডেলের দ্বিতীয় সংস্করণ শুরু করতে চাইছিলেন বিজেপি নেতারা৷