সামনের বছর পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা তুঙ্গে। বিরোধী থেকে শাসক শিবির প্রত্যেকেই কেউ এক ইঞ্চিও মাটি ছাড়তে নারাজ। আট-ঘাট বেঁধে পথে নেমেছে সকলে। হাবড়া পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশ নম্বর রেল এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় অনুষ্ঠানে সভা করতে আসেন বনমন্ত্রী তথা হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সাংবাদিকদের প্রশ্নে একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের একহাত নেন তিনি। সাফ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রসকে ধমকে চমকে লাভ হবে না।’
এ দিন, বিরোধীদের একাধিক কটাক্ষের জবাব দেন জ্যোতিপ্রিয়। বনমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাকে বলুন রাজনৈতিক কালচার শিখে আসতে। ওনার রাজনৈতিক কালচার খুব কম। ওনার কথা শুনে লজ্জা লাগে। অমার্জিত কথা বলেন।বিজেপি একটা কালচারাল ক্লাস করুক। মেয়েদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় জেনে আসুক। মুখ্যমন্ত্রী সর্বপরি একজন মহিলা। তাঁর প্রতি কী ব্যবহার করা উচিৎ জানা প্রয়োজন।’
পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফলাফল করবে সেই আত্মবিশ্বাসও শুনতে পাওয়া যায় জ্যোতিপ্রিয়র গলায়। বলেন, ‘এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনায় ১৯৯ গ্রাম পঞ্চায়েতে সর্বতভাবে জয়ী হব। একটা-দু’টো আসন ছিটকে যেতে পারে। তবে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসই হবে।’ পাশাপাশি লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সরব হন জ্যোতিপ্রিয়। মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র সরকারকে দায়ি করে তাঁর বক্তব্য, ‘এখন চালের দাম ৩১ টাকা উঠে গেছে। আমরা বলেছি তা ২০ টাকায় নামাতে হবে। রান্নার গ্যাসের দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তা ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে।’ এরপর হাবড়ার সাংসদ বলেন, ‘আসলে ইডি-সিবিআই দেখিয়ে, তৃণমূলকে ধমকে-চমকে লাভ হবে না।ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সের ভয় দেখিও লাভ হবে না। তৃণমূলের পক্ষে হাজারো-হাজারো, কোটি-কোটি মানুষের সমর্থন রয়েছে। তাজা যুবকরা আমাদের দলে রয়েছে। আর কয়েকটা দিন যেতে দিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রচুর মানুষের যোগদান হবে এই জেলায়।’