সংসদে সমন্বয় ও বিরোধীদের একত্রিত করা–দুই ক্ষেত্রেই কংগ্রেস ব্যর্থ। এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তাদের মত, বিরোধী জোটে তৃণমূলকে খাটো করে না দেখে কংগ্রেসের উচিত নিজেদের সমকক্ষ হিসেবেই দেখা।
তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান একযোগে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। সুদীপবাবু সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘বিরোধী জোট যে ছত্রভঙ্গ হয়ে রয়েছে এবং ফ্লোর কো-অর্ডিনেশন বলে যেটা থাকে তা রক্ষা করতে কংগ্রেস পুরোপুরি ব্যর্থ। আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এগিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের অসহযোগিতায় তা হয়নি। বরং আমাদের আরও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীর নাম টিভি দেখে আমরা জানতে পেরেছি। প্রার্থীর নামে সম্মতি আছে কিনা, সে কথাও মমতার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়নি।’
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্বের একাধিক কারণ রয়েছে। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের কাউকে প্রথমে কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবেই রাখা হয়নি। অথচ তৃণমূলের তরফে সুখেন্দু শেখর রায় ও রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার নাম কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা সেইমতো দিল্লিতে হাজিরও হয়েছিলেন। তালিকায় নাম না থাকায় মানসকে ফেরত যেতে হয়। সুখেন্দুকে এজেন্ট করার জন্য সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে ফোন করেন খোদ মমতা। তারপরেই সুখেন্দুর নাম কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু বিষয়টিকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। তারই ফলস্বরূপ সংসদে তৃণমূল নিজেদের মতো করেই বিরোধী শিবিরকে জোটবদ্ধ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।