নির্ঘন্ট সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে উত্তরবঙ্গে। তারপর থেকে একটানা ভিজে চলেছে পাহাড়। জানা গিয়েছে, সেই বৃষ্টির বিরাম নেই। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে আরও। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল। পাহাড়ের বর্ষাতে অনেক পর্যটককে আটকে পড়তে হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই আবার দার্জিলিংয়ে ভূমিধস নেমেছে। একটানা বৃষ্টি দেখে অশনি সংকেত তৈরি হয়েছিল। তাই তিনদিন টানা টয় ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কায় সত্যি হয়ে গেল। ভূমিধস নামল দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ের মানভনজঙ্গ রোডের উপর ধোবি খোলায় শুক্রবার রাতে ধস নেমেছে। তার জেরে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাহাড়ের। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে দার্জিলিংয়ে। দুধিয়ায় মুষলধারে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। হড়পা বান আসে বালাসন নদীতে।
উল্লেখ্য, গত ২ অগস্ট কালিম্পংয়ের কালীঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। তার জেরে বহু গাড়ি আটকে পড়ে। এবার দার্জিলিংয়ে ধস নেমেছে। তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই ধসের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আবার কয়েকদিন আগে ধসের ফলে শিলিগুড়ির সঙ্গে গ্যাংটক এবং কালিম্পংয়ের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছিল। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক এবং কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই ঘটনার জেরে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার গাড়িগুলি আটকে যায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল। পাহাড়ের বর্ষাতে অনেক পর্যটককে আটকে পড়তে হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই আবার দার্জিলিংয়ে ভূমিধস নেমেছে।
