শনিবার আচমকা গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল কলকাতা। আজ সন্ধ্যায় পার্কস্ট্রিটে বার্স্ট ফায়ার, এমএলএ হস্টেল থেকে অনতিদূরেই চলল ২০-২৫ রাউন্ড গুলি। প্রায় দেড় ঘণ্টা কলকাতা পুলিশের অপারেশনের পর আটক করা হল সেই জওয়ানকে, যার একে-৪৭ থেকে গুলি ছোড়া হয়। তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের সিপি জানান, ” অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। বুঝিয়ে, নিরস্ত্র করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে গুলি, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” নিজের ব্যারাকে তাণ্ডব দেখিয়ে অবশেষে আত্মসমর্পণ করেছে অভিযুক্ত জওয়ান। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার হাতে থাকা রাইফেলটি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে বারাক চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল হামলাকারী৷ ফলে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি পুলিশ৷ আততায়ীকে নিরস্ত্র করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স এবং সিআইএসএফের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁরা সকলে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ড্রাগন লাইট হাতে নিয়ে ভিতরে ঢোকেন। আত্মসমর্পণের জন্য শর্ত সেয় জওয়ান। বলে, পুলিশকে নিরস্ত্র অবস্থায় কথা বলার শর্ত দেয়। অতঃপর, ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে দল গঠন করে অভিযুক্তর সঙ্গে কথা বলা হয়। বুঝিয়ে নিরস্ত্র করে আটক করা হয় তাকে।
এদিন ৬টা-৭টা নাগাদ হঠাৎই ভারতীয় জাদুঘরের পাশে সিআইএসএফ ব্যারাক থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান বাকি জওয়ানরা। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যু হয়েছে সিআইএসএফের এএসআই রঞ্জিত ষড়ঙ্গীর। আহত জওয়ানের নাম সুবীর ঘোষ। সামনে থাকা পুলিশের গাড়ির কাচও এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।