বহু অপেক্ষার পর অবশেষে বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। সকাল থেকেই মেঘে মুখ লুকিয়েছে শহরের আকাশ। গুমোট গরমের মাঝেই বেলা বাড়তে দুই এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রাও সামান্য বাড়বে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও জারি থাকবে প্রায় সারাদিনই। একদিকে মরশুমে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণও বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে না। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। তবে জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
একনজরে আজকের আবহাওয়া :
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩৫.৩° সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২৬.৯° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৯৪%
বাতাস : ১৩ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৮৬%
শহরের আবহাওয়ার বিশেষ কিছু রদলবদল হচ্ছে না। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ অংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিও হতে পারে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ। উড়িষ্যাতে একটি ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাতেও। শুক্রবার সকালের মধ্যে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে মৌসম ভবন। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি দুই জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর
এবং মালদহ জেলায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের সেইরকম কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অপরদিকে, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়াতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, আগামী কয়েকদিন একই রকম আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণবঙ্গের। উড়িষ্যাতে একটি ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাতেও।