পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়া প্রার্থীকেই বিজয়ী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। এবার মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের সেই আমলাকে তীব্র ভর্ৎসনা করল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। অভিযোগের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, এই পদে বসার যোগ্যতাই নেই তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই মধ্যপ্রদেশে ২৫ সদস্যের গুন্নর জন পঞ্চায়েতে চেয়ারপার্সন, ভাইস-চেয়ারপার্সন পদে নির্বাচন ছিল। সেখানেই পান্নার কালেক্টর সঞ্জয় মিশ্রের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে। ভোটে জিতেছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত পরমানন্দ শর্মা। হারিয়েছিলেন বিজেপি সমর্থিত রামশিরোমণি মিশ্রকে। প্রিজাইডিং অফিসার বিজয়ী হিসেবে পরমানন্দের নাম ঘোষণা করে দেন। এর পরেই কালেক্টর সঞ্জয় মিশ্রের দ্বারস্থ হন রামশিরোমণি।
পরমানন্দের অভিযোগ, তাঁর কোনও কথা না শুনে পরের দিন লটারির মাধ্যমে নতুন করে ভোট করানোর নির্দেশ দেন সঞ্জয়। তার পর রামশিরোমণিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে বিচারপতি বিবেক অগ্রবাল বলেন, ‘রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন উনি। কালেক্টর হওয়ার যোগ্যতাই নেই ওঁর। ওই পদ থেকে ওঁকে অপসারণ করা দরকার।’