‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারকে সফল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবাইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রোফাইল পিকচারের জায়গায় জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদরা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলেছেন। বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও মোদীর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তবে আরএসএস নিজেদের প্রোফাইল পিকচার না বদল করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। এই আবহে এবার বিতর্ক এড়াতে এই নিয়ে মুখ খোলা হল সংঘের তরফে।
আরএসএস সর্বভারতীয় প্রচার প্রধান সুনীল আম্বেকর এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘এ ধরনের বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আরএসএস ইতিমধ্যেই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ এবং ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচিতে তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে। সংঘ জুলাই মাসেই জানিয়েছিল, সরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং সংঘের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি এই সংক্রান্ত যে যে কর্মসূচি পালন করবে তাতে সমর্থন রয়েছে। জনগণ এবং স্বয়ংসেবকদের এই কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানানোর জন্য এবং অংশগ্রহণের জন্যও আবেদন করেছিল সংঘ।’ সংঘের অভিযোগ, যেই রাজনৈতিক দল এই অভিযোগ তুলছে, তারাই এই দেশের বিভাজনের জন্য দায়ী।
এর আগে রাহুল গান্ধী কর্ণাটকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ইতিসাহ প্রমাণ, যে রাজনৈতিক দল হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তারা এমন মতাদর্শের সংগঠন থেকে আসে যারা দেশ বিরোধী এবং ৫২ বছর তারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনি।’ টুইটে আরএসএস-বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল লেখেন, ‘স্বাধীনতার সময় কংগ্রেসকে তারা আটকাতে পারেনি, আজও কংগ্রেসকে আটকাতে পারবে না তারা।’