বৃহস্পতিবারই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী নিয়ে চারদিনের সফরে দিল্লী গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজধানী শহরে পা রেখেই কেন্দ্রের উপর চাপ জারির রাখার কৌশলের খুঁটিনাটি কষে দিলেন তিনি। সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করে নিলেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের খসড়াও। এদিন দিল্লী পৌঁছে প্রথমেই দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেত্রী। চা-চক্রে সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এখন সংসদে বাদল অধিবেশন চলছে। প্রায় সব সাংসদই তাই দিল্লীতে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে নেত্রী সংসদে কেন্দ্রকে চাপে রাখার স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিলেন। তাঁর পরামর্শ, মোদী সরকারের জনবিরোধী ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটতে হবে। সংসদের ভিতরে-বাইরে ক্রমাগত প্রতিবাদই একমাত্র শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
প্রসঙ্গত, আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেবরা। তাঁরাই জানান, বাদল অধিবেশনে সংসদে তৃণমূল ঠিক কোন পথে লড়বে, দিকনির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। বলেছেন, সমস্ত ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদে সরব হতে হবে। কোনও ইস্যুই হাতছাড়া করা যাবে না। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ”দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি, তার জন্য দায়ী কেন্দ্রের একাধিক জনবিরোধী নীতি। সংসদ অধিবেশনের শুরু থেকে আমরা এ নিয়ে সরব। রোজই আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। এই মুহূ্র্তে আমাদের দলের চেয়ারপার্সন দিল্লী এসেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন। আজ আমরা সবাই আলোচনায় বসেছিলাম। কোন পথে প্রতিবাদ চলবে, তা তাঁরা ঠিক করে দিয়েছেন। প্রতিটি ইস্যুকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে হবে।” একই বক্তব্য দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের। আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।