প্রত্যেকদিনের কর্ম ব্যস্ততায় যানবাহনের ধুলো ধোঁয়া ইত্যাদিতে দূষিত হচ্ছে তিলোত্তমা। তার মধ্যে অন্যতম হল দৃশ্যদূষণ। এবার এই দূষণ রোধ করতে বিজ্ঞাপন নীতি তৈরি করছে পুরসভা। দৃশ্যদূষণ রুখতে হেরিটেজ ভবন থেকে বিজ্ঞাপন হোর্ডিং সরছে। এবার জলাভূমিকেও হোর্ডিংমুক্ত করছে কলকাতা পুরসভা সেই সঙ্গে শহরে চালু হচ্ছে ইউনিপোল হোর্ডিং। নির্দিষ্ট দূরত্বে পরপর একটি পোল থাকবে। এই হোর্ডিং পোলের মাপ সমান থাকবে বলে বুধবার জানান মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। যত্রতত্র বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকে গিয়েছে তিলোত্তমার। পূর্ব কলকাতার জলাশয়গুলিও দখল করে রয়েছে বিশাল বিশাল হোর্ডিং। এইসব বিজ্ঞাপন হোর্ডিংয়ে শহরে দৃশ্যদূষণ বাড়ছে। দূষণ রোধ করতে বিজ্ঞাপন নীতি তৈরি করছে পুরসভা। পুজোর আগেই এই বিজ্ঞাপন নীতি চালু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। সেজন্য বুধবার বিজ্ঞাপন নীতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও পুর কমিশনার বিনোদ কুমার।
৫২ পাতার নয়া বিজ্ঞাপন নীতির খসড়ায় শহরে কোনগুলি হোর্ডিং জোন এবং কোনটি নন হোর্ডিং জোন হচ্ছে তা বলা রয়েছে। কোন হোর্ডিং জোনে কী ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে হবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন পার্ক স্ট্রিটের মতো কর্পোরেট এলাকার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে সেই ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সব থেকে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইউনিপোল চালু। এছাড়া ডিজিটাল হোর্ডিংয়ের উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। হেরিটেজ ভবনের পাশাপাশি হেরিটেজ জোন যেমন ধর্মতলা, বিবাদী বাগ এই সব এলাকায় বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। জলাভূমির উপর যেসব হোর্ডিং রয়েছে সেগুলি খুলে ফেলা হবে। তবে এখনও নীতি চূড়ান্ত হয়নি। খসড়ায় আরও কিছু পরিবর্তন ও সংযোজন হতে পারে। এদিন দেবাশিস কুমার জানান, ‘বিজ্ঞাপন নীতি নিয়ে একটা খসড়া তৈরি হয়েছে। এজেন্সি, বিশেষজ্ঞ সকলের কাছে প্রস্তাব নেওয়া হচ্ছে। তাদের প্রস্তাবগুলির গুরুত্ব বুঝে সংযোজন করা যেতে পারে। পুজোর আগেই বিজ্ঞাপন নীতি চূড়ান্ত করতে চাইছি।’