অব্যাহত চাপানউতোর। ফের নতুন বিতর্কের মুখে পড়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের পর কি এবার দেশের অন্যান্য রাজ্যেও সরকার ফেলে দিয়ে মসনদ কায়েমের পথে হাঁটছে তারা? অতিসম্প্রতি আর একটি ঘটনায় সেই গুঞ্জন ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। রাজস্থানে কংগ্রেসশাসিত সরকার ফেলতে বিধায়কদের ৬০ কোটি টাকা করে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সোমবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজস্থানের সেনা কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধা । শুধু অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্য নয়, সদ্য সমাপ্ত রাজ্যসভার ভোটেও একজন বিশেষ ব্যক্তিকে জেতাতে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। “রাজ্যসভার ভোটে একজন বিশেষ ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকার অফার দেওয়া হয়েছিল”, জানিয়েছেন রাজেন্দ্র। যদিও ওই বিশেষ ব্যক্তি কিংবা কারা ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাদের নাম প্রকাশ্যে আনেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির হয়ে ভোটে জিতলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন গুধা। ২০২০ সালে অশোক গেহলটে বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটের বিদ্রোহের সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার জন্য পরে মন্ত্রিসভায় জায়গাও পান তিনি। সোমবার ঝুনঝুনুতে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়েই একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন গুধা। “রাজনীতি এখন কার্যত ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন সাংসদ-বিধায়কদের একাংশ। ২০২০ সালে যখন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়েছিল, তাতে সামিল হওয়ার জন্য তখন আমাকে ৬০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ঘৃণাভরে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। সম্প্রতি রাজ্যসভার ভোটের সময়েও একজন বিশেষ ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। দুই ক্ষেত্রেই স্ত্রী, পুত্র-কন্যার মতামত জানতে চেয়েছিলাম। তাঁরা স্পষ্টই আমাকে বলেছিল, টাকার চেয়েও তাঁদের কাছে আমার যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে তা বেশি মূল্যবান”, জানান তিনি।