সরকার এখনও অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি। তার জেরেই নর্থ ইস্টে ইসলামির উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যকলাপ এখনও চলছে। ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, তার জেরেই বিশেষত অসমে এসব হচ্ছে। ৭৫ বছরে একটি মেডিক্যাল কলেজও হয়নি নাগাল্যান্ডে। এটা সরকারের ভাবা দরকার। নাগরিকত্ব সংশোধনী অ্যাক্ট বাতিলের দাবিতে এবার সোচ্চার নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গনাইজেশন। তাদের দাবি এই অ্যাক্ট সাম্প্রদায়িক। এই আইন লাগু হলে উত্তরপূর্বের ভূমিপুত্ররাও সমস্যায় পড়বেন। উত্তরপূর্বের আট রাজ্যের প্রায় সমস্ত ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা গুয়াহাটিতে বৈঠকে বসেছিলেন।
এদিকে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়েছেন কোভিডের বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত কর্মসূচি মিটে গেলেই সিএএ সংক্রান্ত আইন প্রয়োগ করা হবে। আর তারপরেই বৈঠকে বসলেন উত্তরপূর্বের ছাত্র সংগঠনগুলি। এনইএসও চেয়ারম্যান স্যামুয়েল বি জাইরওয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমরা সিএএ মানব না। আসু ও অন্যান্যরাও সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে পিটিশন জানিয়েছে। তবে ২০২০ সালের পর থেকে এনিয়ে কোনও শুনানি হয়নি। সিএএ যদি লাগু হয় তবে আমাদের প্রতিবাদও জারি থাকবে। এনইএসও’র উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সিএএকে যেতেই হবে। অন্য কোনও দ্বিতীয় পথ নেই। সরকার বলছে ইনার লাইন পারমিট ও ষষ্ঠ তফশিলের আওতা রয়েছে এমন রাজ্যগুলিতে সিএএ লাগু হবে না। কিন্তু অসম ও ত্রিপুরায় যদি সিএএ প্রয়োগ হয় তবে তার প্রভাব গোটা উত্তরপূর্বে পড়বে।