গত শনিবার হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের গাড়ি থেকে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই টাকায় বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচা করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল থেকে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাংলার সিআইডি। আর তাতেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৩০ জুলাই প্রথমবার নয়, এর আগেও কলকাতায় হাতবদল হয়েছে মোটা অঙ্কের নগদ।
প্রসঙ্গত, সিআইডি তদন্তের গতি বাড়াতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯-২০ জুলাই নাগাদ কলকাতায় এসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের দুই কংগ্রেস বিধায়ক। এখান থেকে গুয়াহাটি গিয়েছিলেন বৈঠক করতে। সেখানে এক বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন রাজেশ কাচ্ছাপ এবং ইরফান আনসারি, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। এরপর গত ২১ জুলাই প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়ে কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডে ফিরেছিলেন কংগ্রেসের দুই বিধায়ক। আর এই নগদ তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সিআইডির নজরে থাকা ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল। এমনই অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে এদিন ফের তাঁকে তলব করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা। বুধবারও গভীর রাত পর্যন্ত তাঁকে জেরা করা হয়।
এদিকে সিআইডির নজরে ধৃত কং বিধায়কদের ‘মন্দারমণি বিলাস’ও। ৩০ জুলাই গ্রেফতারির আগে ৪৯ লক্ষ টাকা এবং বিধায়কদের নিয়ে মন্দারমণি দিকেই যাচ্ছিল কালো গাড়িটি। আর এ বিষয়টিই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এত টাকা নিয়ে কেন মন্দারমণি যাচ্ছিল ৩ কংগ্রেস বিধায়ক? কার সহযোগিতায় সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তাঁরা? এত জায়গা থাকতে হঠাই মন্দারমণি কেন? কে বা কারা বুক করে দিয়েছিলেন হোটেল, সেদিকেও নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের সরকারের ফেলতে বিজেপির ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত আগে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা। মন্দারমণি কাণ্ডের সঙ্গে কি তাঁদেরই কারোর যোগ রয়েছে? খতিয়ে দেখছে সিআইডি।