ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য কর্ণাটক। মিড-ডে মিলের খাবার নিয়ে আবার শুরু হল শোরগোল। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিজেপি নেত্রীই। “মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের জন্য ডিম দেওয়া হচ্ছে কেন? নিরামিষভোজী পড়ুয়ারা তা হলে কী খাবে? তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।” টুইট করে এমনই অভিযোগ করলেন কর্ণাটকের বিজেপি নেত্রী তথা প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারের স্ত্রী তেজস্বিনী অনন্ত কুমার। পদ্ম-নেত্রীর বক্তব্য, নিরামিষভোজীরা ডিম খান না। রাজ্য সরকারকে তারা অনুরোধ করেছে, এই বিষয়ে যেন বৈষম্য না হয়। সকলের সঙ্গে যেন ন্যায় করা হয়। সোমবার তেজস্বিনী টুইট করেন, “আমাদের কর্ণাটক সরকার মিড-ডে-মিলে ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন? এটাই (ডিম) পুষ্টির একমাত্র উৎস নয়। অনেক ছাত্র যারা নিরামিষভোজী তাদের জন্য এই খাবার বর্জনীয়৷” পাশাপাশি বিজেপি নেত্রী আরও বলেন, প্রকল্পগুলিকে এমনভাবে রূপায়ণ করা উচিত যাতে সকলে সমানভাবে উপকৃত হয়।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়েই কর্ণাটক স্কুল শিক্ষা দফতর ঘোষণা করে, এবার থেকে মিড ডে মিলে ডিম, কলা ও বাদাম চাক থাকবে। প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের এই খাবার দেওয়া হবে। বছরে মোট ৪৬ দিন দেওয়া হবে মিড-ডে-মিল। শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ তখনই বলেন, “ডিম খাওয়ার জন্য কোনও ছাত্রকে জোর করা হবে না। যারা ডিম খাবে না, তারা কলা ও বাদাম চাক বেছে নিতে পারবে।” উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও মিড ডে মিল বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল কর্ণাটকে। পড়ুয়াদের খাবারে পাওয়া গিয়েছিল টিকটিকি! যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৮০ জন পড়ুয়া। তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্ণাটকের হাভেরি জেলার এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ভেঙ্কটাপুরা টান্ডা গ্রামের এক সরকারি স্কুলে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ে মিড ডে মিল খাওয়ার পরেই। রানিবেন্নুর শহরের সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় অসুস্থ পড়ুয়াদের। ভর্তি হওয়া ৮০ জনের মধ্যে ৭৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও দু’জন পড়ুয়ার আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়। স্বস্বাভাবিকভাবেই ক্রমাগত এমন ঘটনার জেরে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল বিজেপি।