কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বারবার অভিযোগ উঠেছে যে, উক্ত এজেন্সিটিকে প্রায়শই নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মোদী সরকার। এ নিয়ে ক্রমাগত সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এবার ইডিকে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করে বিবৃতি জারি করল বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ অন্তত ১৭টি বিরোধী দল এই রায়ের সুদরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে এ বিষয়ে লিখিত বিবৃতি জারি করেছে। ২০১৯-এ ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)’ বা আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে সংশোধনীকে বহাল রাখার রায় দেয় শীর্ষ আদালত। যার মাধ্যমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অতিরিক্ত ক্ষমতায়ন হয়েছে। এ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, আপ-সহ ১৭টি বিরোধী দল।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই পিএমএলএ আইনের সংশোধনী বহাল রাখার রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এর ফলে ইডির মতো একাধিক সংস্থার হাতে বিস্তৃত ক্ষমতা চলে আসে। যা চ্যালেঞ্জ করে অন্তত ২৫০টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অর্থ বিলের মাধ্যমে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে সংশোধন ভুল বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, তা হলে ইডির অধিকাংশ ক্ষমতাও বাতিল হয়ে যাবে। কারণ ওই আইনে সংশোধনের মাধ্যমেই ইডিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইডির ক্ষমতায় সিলমোহরে শীর্ষ আদালতের রায়ও বিফলে যাবে। বিরোধীরা সম্মিলিত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাবে বলেও স্থির হয়েছে। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় তল্লাশি, গ্রেফতারি-আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় নেওয়া বয়ানকে ইডি প্রামাণ্য হিসেবে আদালতে পেশ করতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে চিন্তিত হয়েই বিবৃতি জারি করেছে বিরোধীরা। তাতে লেখা হয়েছে, “আমরা আশা করব, এই বিপজ্জনক রায় হবে ক্ষণস্থায়ী এবং সাংবিধানিক বিধি রক্ষিত হবে।”