পেট্রোল-ডিজেল চালিত যানবাহনে প্রত্যহ দূষিত হয়ে চলেছে তিলোত্তমা। কর্মব্যস্ততায় মোড়া কলকাতার দূষণ কমাতেই ধাপে ধাপে নামানো হবে ১১৮০টি বেসরকারি ইলেকট্রিক বাস। ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোল-ডিজেল চালিত কোনও গণপরিবহণ ব্যবস্থা থাকবে না। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পরিবহণ দফতর। কেন্দ্রীয় টেন্ডার অনুযায়ী ওই বাসগুলি সরবরাহ করবে টাটা ও টিএমএল। আগামী দু’বছরের মধ্যেই বাসগুলি রাস্তায় নামবে। থার্ড পার্টি লিজের মাধ্যমে যাবতীয় ই-বাস পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে সিসিএল নামে বেসরকারি সংস্থার হাতে। এরজন্য সরকারের তরফে কিলোমিটার পিছু ৩০টাকা করে ওই সংস্থাকে দেওয়া হবে। অন্যদিকে টিকিট বিক্রির টাকা জমা পড়বে সরকারের কোষাগারে। বুধবার, পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করেন। তিনি জানান, এই চুক্তির মাধ্যমে বাস ডিপো থেকে শুরু করে চার্জিং স্টেশন সব কিছু ব্যবহার করতে পারবে ওই সংস্থা। কলকাতার দূষণ কমাতেই এই উদ্যোগ।
তিনি বলেন, ‘আমায় বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি তা করিনি। আমি বিকল্পের কথা ভেবেছি।’ নতুন বাসগুলি ৯ ও ১১ মিটার দৈর্ঘ্যের হবে। ৫০০টি এসি ও ৬৮০টি নন এসি। বাসের ভাড়াও সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এজন্য টাটা মোটরসকে ধন্যবাদ জানান তিনি। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, নতুন এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে ই-বাস কিনবে বেসরকারি সংস্থাই। বাস চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় চালক, কন্ডাকটার সব কর্মীর জোগান ওই সংস্থাই দেবে। তবে ভাড়া নির্ধারণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সারা দেশে ইলেকট্রনিক বাস চালু করার ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই এবার গণপরিবহণে ই-যানকে রাস্তায় নামাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।