একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে মুষল পর্ব চলছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলেরই অন্য অংশকে। একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। আর এর ফলে বেজায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার যেমন অমিত শাহের ভর্ৎসোনার মুখে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক ভাবে যথোপযুক্ত কাজে লাগান। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যান। এই সুযোগে আরও জনসংযোগ বৃদ্ধি করুন। ব্লকে ব্লকে জোরদার আন্দোলন করুন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর যাবতীয় নালিশ শোনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুভেন্দুকে বলেছেন, শিক্ষক দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বিষয়টিকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি। এর কারণ, দলের রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। শুভেন্দুকে অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দলের মধ্যে উপদল বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্য বিজেপির সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।