ফের উঠল চোট লুকোনোর অভিযোগ। যা ঘিরে আবার বিতর্কের কেন্দ্রে কমনওয়েলথ গেমসে। সমস্যার সূত্রপাত সেই ভারোত্তোলন নিয়েই। মহিলাদের ৭৬ কেজি বিভাগে পুনম যাদবের ইভেন্টের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে চোট লুকিয়ে নামার অভিযোগ তুললেন ভারোত্তোলক সংস্থার সভাপতি সহদেব যাদব। তাঁর দাবি, নিশ্চিত একটি পদক হাতছাড়া হল। যদিও সহদেবের অভিযোগ খারিজ করেছেন পুনম। স্ন্যাচে তৃতীয় প্রয়াসে ৯৮ কেজি তুলে রুপো জেতার জায়গায় চলে এসেছিলেন পুনম। তবে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তাঁর তিনটি প্রয়াসই বাতিল হয়েছে।
এর পরেই সংস্থার প্রধান সহদেব জানিয়েছেন “একটা নিশ্চিত পদক হাত থেকে বেরিয়ে গেল। আমরা একটা সুযোগ হারালাম। এই জন্যেই আমরা ওর নাম প্রথম তালিকায় রাখিনি। নিজেকে ফিট বলে ও দলে আসে। ডাক্তারের ফিটনেস শংসাপত্রও দেখায়। এত দেরিতে দলে যোগ দিয়েছিল যে পরে ওর নাম বাদও দিতে পারিনি।” পাশাপাশি সহদেবের সংযোজন, “ওর লিফ্টগুলো খুঁটিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন, ক্লিন অ্যান্ড জার্কের সময় নিজের পুরো শক্তি দিয়ে তুলছিল না ও। পুরো শক্তি দিতে গেলে হাঁটু বেঁকে যাবেই। সেটা হয়নি। পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে ও ১০০ শতাংশ ফিট নয়।” যদিও একথা মানতে চাননি পুনম। বলেছেন, “আমি পুরোপুরি ফিট ছিলাম। চোট যে কোনও খেলোয়াড়েরই জীবনের অংশ। আমারও চোট লেগেছে। ভাগ্য খারাপ বলে জিততে পারিনি।” প্রশ্ন করা হয়, কোথায় সমস্যা হয়েছিল? “বিচারক হেসেছিলেন, তাই সবুজ আলো জ্বলার আগেই আমি বারবেল ফেলে দিয়েছি”, উত্তরে জানান পুনম। উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ গেমসের আসরে এখনও পর্যন্ত ভারোত্তোলনে সাতটি পদক এসেছে ভারতের ঘরে।