১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে কাজ দেখতে কেন্দ্রীয় পরিদশর্দল দল জেলা পরিদর্শন করছেন। তারা গ্রামপঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে কাজ দেখতে এসেছেন। আর তাই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিল রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো নির্দেশিকায় তা পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। গত ডিসেম্বর থেকে ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পে মজুরি বাবদ ৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকার রাজনৈতিকভাবে কেন্দ্র বিরোধীতায় সোচ্চার হলেও বকেয়া মজুরীর টাকা আদায় করতে পারেনি।
নবান্ন সূত্রে খবর জেলাশাসকদের কাছে পঞ্চায়েতের বিশেষ সচিব পদমর্যাদার এক আধিকারিক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক কাজের যে তালিকা তৈরি করে দিয়েছে তার ভিত্তিতেই ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্প রূপায়ণ করাতে হবে। এর বাইরে কোনও কাজ করা হলে তা বেআইনি। এধরনের কাজের কোনও পরিকল্পনা থাকলে তা এখনই যেন বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে যারা এই প্রকল্পের কাজ চাইবেন শুধুমাত্র তাদেরই কাজ দিতে হবে। এই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে কী কাজ করা হবে, তাতে কি সম্পদ সৃষ্টি হবে তা যথাযথভাবে নীরিক্ষন করতে হবে। জব কার্ড যেন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা উপভোক্তার কাছে থাকে। এমনকী তা পঞ্চায়েতের কাছেও রাখা যাবে না।
শুধু তাই নয়। ই-মাস্টার রোলের ভিত্তিতেই মজুরির জন্য পে অর্ডার ইস্যু করতে হবে। সম্পদ সৃষ্টি হবে না এমন কোনও কাজ কারনো যাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। এছাড়া নবান্নের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে কাজ দেওয়ার আগে সাত দফা নীতি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। রেজিস্টার জব কার্ড হোল্ডার এবার বাড়ির কর্মসংস্থানের রিপোর্ট, গ্রামসভায় রেজিস্টার রাখতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত তিনটি ক্ষেত্রেই কাজ দেওয়া যাবে। নদী সংস্কার , পার বাঁধানো,নীচু জমি ভরাট বা অকৃষি জমিকে কৃমিতে রূপান্ত করা,রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর কাজই করতে হবে।