১৯৭৪ সালে হঠাৎই জমির ভাগাভাগির জন্য সরকারি দপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন লালবিহারীবাবু মৃত। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা, পেশায় কৃষক ও সমাজকর্মী লালবিহারীর সঙ্গে এমনটাই ঘটেছিল। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে আইনের চোখে নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করেন তিনি। যার জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁর লড়াই। সেই ঘটনার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় ‘কাগজ’। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল বিজেপি শাসিত হরিয়ানায়। ব্যাপারটা হল একজন মানুষ দিব্য সুন্দর বেঁচে আছেন। তিনি হঠাৎ একদিন কোনও সরকারি জায়গায় গিয়ে জানতে পারলেন যে অনেকদিন আগেই মরে গিয়েছেন তিনি।
ব্যাপারটা হল, বাস্তবে তিনি বেঁচে থাকলেও খাতায়-কলমে বহুদিন আগেই গত হয়েছেন। আর এই কাগজের এমন জোর যে হাজার চেষ্টা করলেও বেঁচে ওঠা খুব কঠিন। পুথিসামাইন গ্রামের বাসিন্দা ফুলা দেবী। গ্রামে সকলের দিব্য হেসে-খেলে গল্পও করে বেড়াচ্ছেন তিনি। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হল টাকা তুলতে গিয়ে। ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে ফুলা দেবী জানতে পারেন যে তিনি মরে গিয়েছেন। হ্যাঁ, তিনি দাঁড়িয়ে আছেন সামনেই, আর ব্যাঙ্কের কর্মী তাঁকে বলছে, ‘আপনি তো মরে গিয়েছেন’। সরকারি নথি অনুসারে ১৫ এপ্রিল তিনি মরে গিয়েছেন। এরপরই জেলার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার আধিকারিকের কাছে যান ফুলা দেবী। তবে এখনও পর্যন্ত কাগজে বেঁচে উঠতে পারেননি তিনি।