গতকাল রবিবারে কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে প্রায় ১৮ জন পুণ্যার্থী একটি পিকআপ ভ্যানে করে জল্পেশের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই শর্ট সার্কিটে মৃত্যু হল ১০ পুণ্যার্থীর। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায়। ৬ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে প্রায় ১৮ জন পুণ্যার্থী একটি পিকআপ ভ্যানে করে জল্পেশের দিকে যাচ্ছিলেন। চ্যাংরাবান্ধার ধরলা সেতুর কাছে জেনারেটর থেকে সেই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয় বলে কয়েকজন পুণ্যার্থী দাবি করেছেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে চালক অসুস্থদের চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেদেন চিকিৎসক। মৃতদের বাড়ি শীতলকুচিতে। ৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
মেখলিগঞ্জের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিজিৎ পাল চৌধুরী বলেন, “পিকআপ ভ্যানে শর্ট সার্কিট হওয়ায় একসঙ্গে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।” নিহতেরা হল শুভঙ্কর বর্মন, স্বপন বর্মন, বাদল বর্মন, বিশাল তিরকি, বিভাস বর্মন, বিক্রম বৈশ্য, বাপি বর্মন, লক্ষ্মণ বর্মন, মানব বর্মন এবং সুশান্ত বর্মন। তাঁরা প্রত্যেকেই কোচবিহারের শীতলকুচির বাসিন্দা। নিহতদের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। এমন দুর্ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি। একই এলাকার দশজনের মৃত্যুতে নেমেছে শোকের ছায়া। আহতদের পরিবারের লোকজনও উদ্বিগ্ন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছ’জনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন সকলেই।