একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে আর রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায়নি ‘মহাগুরু’কে। তবে গতকাল হঠাতই হেস্টিংয়ে বিজেপি দফতরে গিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন মিঠুন চক্রবর্তী। স্রেফ রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের সমালোচনা করা নয়, সাংবাদিক সম্মেলনে মিঠুনের বিস্ফোরক দাবি, ‘৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। তার মধ্যে ২১ জন বিধায়ক সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে’। মিঠুনের এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। আগেই ‘অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, সারদার সুবিধাভোগী’ মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এবার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয় প্রতিবেদনেও সরাসরি আক্রমণ করা হল তাঁকে।
একুশের ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন মিঠুন। তিনি বলেছিলেন, মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে তাঁর মনে হয়েছে যে সেই নির্বাচনে বিজেপি জিতবে। সেই কথা মনে করিয়ে জাগো বাংলায় লেখা হয়েছে, একুশের বিধানসভা ভোটের সময় তিনি ভাড়াটে সৈন্য হয়ে এসেছিলেন বাংলায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মিঠুন চক্রবর্তীর ভ্রান্ত ধারণা ছিল যে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার সিনেমার মতনই হবে এবং তিনি যা বলবেন তাই হবে। তাঁর স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে নিজের এবং তাঁর ছেলের ব্যবসা বাঁচাতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুরি মেরেছেন এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে একইসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিজেপিতে যোগ দিলেই বাংলার রাজনৈতিক ‘মসিহা’ হওয়া যাবে না। পাশাপাশি, মিঠুনকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন করা হয়েছে বাংলাকে তিনি ‘ফাটাকেষ্টর সেট’ মনে করেন কিনা।
সেখানে আর বলা হয়েছে যে মিঠুন চক্রবর্তি মিথ্যা কথা বলা অভ্যাস করে ফেলেছেন। সেখানে আর বলা হয়েছে যে কিছুদিন পরে তাঁর কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না।
