দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বেড়েই চলেছে বেওয়ারিশ টাকার পরিমাণ। এবার পাহাড়প্রমাণ সেই বেওয়ারিশ টাকার দাবিদার খুঁজতে এ বার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল আরবিআই। যে সব রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি বেওয়ারিশ টাকা জমা পড়েছে এমন মোট আটটি রাজ্যের উপরই আরবিআইয়ের নজর রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যে সব রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি বেওয়ারিশ টাকা জমা পড়েছে এমন মোট আটটি রাজ্যের উপরই আরবিআইয়ের নজর রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কগুলিতে যে পরিমাণ বেওয়ারিশ টাকা জমা পড়েছিল তার পরিমাণ ৩৯ হাজার ২৬৪ কোটি। আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাদের ভান্ডারে বেওয়ারিশ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। আরবিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও গ্রাহক ১০ বছর নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন না করেন, তা হলে সেই অ্যাকাউন্টে জমা টাকাকে বেওয়ারিশ ঘোষণা করা হয়। যে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও রকম লেনদেন হয় না, সেই অ্যাকাউন্ট ‘ডরম্যান্ট’ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট এবং রেকারিং ডিপোজিটের বেওয়ারিশ টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারেনেস ফান্ড (ডিইএএফ বা ডেফ)-এ জমা পড়ে। আরবিআই জানিয়েছে, এমন অনেক গ্রাহক আছেন যাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পরেও দীর্ঘ সময় ধরে সেই অ্যাকাউন্টে লেনদেন করেন না। এমনকি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কোনও আগ্রহও দেখান না, সচেতনতা প্রচার চালানো সত্ত্বেও এই ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে আরবিআই। প্রতি বছর এই ধরনের অ্যাকাউন্টে জমা টাকা আরবিআইয়ের ‘ডেফ’ অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে। কেন বাড়ছে বেওয়ারিশ টাকার পরিমাণ? আরবিআই জানিয়েছে, এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে। যেমন, কোনও অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু হওয়া, পরিবারের লোকেদের ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে অবহিত না হওয়া, ভুল ঠিকানা বা অ্যাকাউন্টে কোনও নমিনি থাকা ইত্যাদি। যদি কোনও গ্রাহকের দাবিহীন টাকা আরবিআইয়ের ‘ডেফ’ অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়, সেই টাকা ফেরত পেতে হলে যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, গ্রাহককে সেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
