মমতা সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল কন্যাশ্রী। বিশ্ববন্দিত এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল ২০১৩ সালের ৮ মার্চ। বাকিটা ইতিহাস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রকল্প কন্যাশ্রী আজ কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও কন্যাশ্রী পুরস্কৃত হয়েছে। আর এবার নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থীর প্রশংসা আদায় করে নিল বাংলার এই প্রকল্প।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের কারণে বাংলার কোটি কোটি মেয়ে আজ উপকৃত। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন গোটা দেশের প্রতিটি জায়গায় কন্যাশ্রীর মতো উপযোগী প্রকল্প থাকা উচিত। নোবেলজয়ীর মতে, কন্যাশ্রীর মাধ্যমে মেয়েদের স্কুলছুট রুখতে এবং বাল্যবিবাহ ঠেকাতে বাংলার সরকার অনবদ্য কাজ করেছে। এই উদ্যোগের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
তাঁর মতে, ‘কন্যাশ্রী’ অন্য সব রাজ্যের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে। সমাজে ঘটে চলা মানবপাচার, শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অপরাধ রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে যৌথভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করার পাশাপাশি প্রয়োজন পড়লে শর্তসাপেক্ষে আর্থিক সুবিধা দিতে হবে। এখানেই কন্যাশ্রী পথ দেখাচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্যও করতে হবে। যে কাজ কন্যাশ্রী করে চলেছে।
বচপন বাঁচাও আন্দোলনের প্রাণপুরুষ কন্যাশ্রীর মধ্যে দিয়ে সামাজিক পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তাঁর মতে, কন্যাশ্রী কেবল মেয়েদের স্কুলমুখীই করছে না, সেই সঙ্গে মেয়েদের ক্ষমতায়নও ঘটাচ্ছে এই প্রকল্প। কন্যাশ্রী ক্লাবের ভূমিকাকেও কুর্নিশ জানাচ্ছেন নোবেলজয়ী। তাঁর মতে, এটি সমাজের চেহারা বদলে দিতে পারে। এ ধরণের প্রকল্প আরও বেশি করে গ্রহণ করার নিদান দিচ্ছেন নোবেলজয়ী।