১৭ পেরোলেই ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য দরখাস্ত জমা করা যাবে। তবে অগ্রিম আবেদন করলেও ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় হিসাব মতো পরের বছর অন্তত ১ জানুয়ারি যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম তোলা হবে ভোটার তালিকায়। অর্থাৎ ভোটার হওয়ার বয়স ১৮-ই থাকছে। ধরা যাক, কেউ এখন আবেদন করলেন। কিন্তু ধরেই নেওয়া যায় ১.১.২০২৩-এ তাঁর বয়স ১৮ হবে না। ফলে তাঁর নাম তখন ভোটার তালিকায় উঠবে না। কিন্তু পরে বয়স ১৮ হওয়া মাত্র তালিকায় নাম উঠে যাবে। কিন্তু এখন আবেদন করতে বাধা রইল না। চলতি নিয়মে ১ জানুয়ারি ১৮ উত্তীর্ণরাই শুধু আবেদন করতে পারতেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের নতুন নিয়ম চালু করার জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন নিয়ম চালুর কথা আজ কমিশন একটু আগে ঘোষণা করেছে।
কমিশন জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতি তিনমাস অন্তর খসড়া ভোটার তালিকা সংশোধন করা হবে। সেই মতো ১ জানুয়ারি, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই এবং ১ অক্টোবর ১৮ উত্তীর্ণদের নাম ভোটার তালিকায় তোলা হবে। একই সঙ্গে বছরে চারবার ঠিকানা পরিবর্তন, ভুল-ক্রুটি সংশোধনের সুবিধাও পাওয়া যাবে। কমিশন ভোটার তালিকার সঙ্গে আধার সংযোগের কাজও শুরু করতে যাচ্ছে। এ জন্য নতুন একটি ফর্ম ৬-বি চালু করছে কমিশন। তবে আধার যোগ না হওয়ার কারণে কারও ভোটাধিকার বাতিল হবে না। ভোটার তালিকায় নাম আগের মতোই থাকবে। সেই সঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, আধার সংযোগের ফলে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যক্তিগত কোনও তথ্য বা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সুবিধাদি সম্পর্কিত বিষয় গোপন রাখা হবে। আধার সংযোগ পুরোপুরি ভোটারের ইচ্ছাধীন। সংযোগের কাজ শুরু হবে ১ অগাস্ট থেকে।